বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কুমিল্লায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৪ জন

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯
news-image

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। গত দুই মাসে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (কুমেক) এবং জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে এই পর্যন্ত ১ হাজার ৫৪ জন আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের মধ্যে কুমিল্লায় কোন রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষ দিকে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা দেয় কুমিল্লায়। তারমধ্যে বেশির ভাগই রাজধানীতে আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লায় চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। যাদের স্থায়ী ঠিকানা কুমিল্লা এবং আশপাশের জেলাগুলোতে। তবে কুমিল্লায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে আগস্ট মাসের শুরুতে।

কুমিল্লা জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্ববধায়ক আবদুল মালেক জানান, কুমেক এবং জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গত দুই মাসে ১ হাজার ৫৪ জন আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এইসব রোগীদের মধ্যে ১ হাজার ০৬জন সেবা নিয়ে বাড়ি গিয়েছেন। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে ৪৮ জন আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়ে সেবা নিচ্ছেন।

ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত মধ্যে ৭শ৬৩জন রোগী কুমেক থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ২৩ জন, হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১জন, দাউদকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪জন, কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টারে ১শ০৯জন, কুমিল্লা মুন হাসপাতালে ৩৪ জনসহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিয়েছেন।

কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, গত দুই কুমিল্লা মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে ভর্তি হয়েছে। তারমধ্যে অধিকার রোগী রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন সেবা নিতে।

আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এ পর্যন্ত কুমিল্লায় চিকিৎসাধীন কেউ মারা যায়নি। একটি মৃত্যু ঘটনা গুজব উঠলেও তদন্ত করে দেখা গেছে তিনি অন্য একটি রোগে আক্রান্ত হয়েছে মারা গিয়েছিলেন।

রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্তের ঘটনায় কুমিল্লার স্বাস্থ্য বিভাগ এবং প্রশাসন অত্যন্ত সচেতন হয়েছেন এবং প্রতিরোধে একসাথে কাজ করেছেন। যার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারেনি এবং কোন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুও হয়নি।

আর পড়তে পারেন