শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বুড়িচংয়ে সড়কের দুটি ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্ত,যানবাহন চলাচলেও ঝুঁকি

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
মে ২২, ২০১৯
news-image

 

সাকিব আল হেলাল :

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের কোরপাই- আবিদপুর ৫ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে মিথলমা-আবিদপুরের মাঝামাঝি এলাকায় একটি ব্রিজ ও মনঘাটা এলাকায় একটি কালভার্ট নির্মাণের পর প্রায় ২ বছর ধরে মাঝখানে এর ঢালাই খসে পড়েছে। এতে ঐ সড়কে চলাচলরত হাজার হাজার মানুষ, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, হাটবাজারগামী ব্যবসায়ী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
করছে।
নির্মাণের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় অল্প সময়ের মধ্যে ঢালাই খসে পড়ে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোকাম ইউনিয়নের কোরপাই থেকে আবিদপুর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়কটি অতি গুরত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে দেবীদ্বার, মুরাদনগরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশের বৃহত্তম সবজি বাজার নিমসারে এলাকার কৃষককে তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে প্রতিদিন বিভিন্ন যানবাহনে বাজারে আসতে হয়।

এ ছাড়া ঐ এলাকার মানুষ কুমিল্লা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য এ সড়ক ব্যবহার করেন। আবিদপুরে রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা। অন্যদিকে নিমসার কোরপাই এলাকায় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী নিমসার জুনাব আলী কলেজ, মহিলা উচ্চ বিদ্যালয়, নিমসার উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের প্রতিনিয়ত এ সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

এলাকার সাধারণ মানুষেরর সাথে কথা হলে তারা অভিযোগ করেন, এ ব্রিজটির ওপর দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে চলাচলের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। একই ভাবে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও দুর্ঘটনার শিকার হয়। নিমসারসহ বিভিন্ন বাজারে কৃষিপণ্য নিয়ে যাতায়াতের সময় কৃষকরা ব্রিজটি পারাপারের সময় অনেক যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়।

স্থানীয়রা আরও জানান, রাতে এ সড়কটি দিয়ে চলাচলের সময় সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের ব্যাপক ঝুঁকি নিতে হয়। তাছাড়া এ সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষকে বহু দূর ঘুরে বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়।

এ ব্যপারে বুড়িচং উপজেলা প্রকৌশলী জিহান আল তুহিন জানান, এই দুটি ব্রিজ দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙ্গা অবস্থায় আছে। এল.জি.ই.ডির তালিকায় এ দুটি ব্রিজের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে বুড়িচং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোস্তফা মাইদুল মোর্শেদ মুরাদ বলেন, এ ব্রিজটির বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিয়েছি। ব্রিজটি আমাদের প্রকল্পের মধ্যে নেই।

আর পড়তে পারেন