শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস আজ

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
জুলাই ১৬, ২০১৭
news-image

বিশেষ রিপোর্ট ॥
২০০৭ সালের এই দিনে (১৬ জুলাই) বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে কারাবন্দী করা হয়। সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন জরুরি অবস্থার সরকার বঙ্গবন্ধু কন্যাকে কারাবন্দী করেন। দির্ঘ এগারো মাস তাকে কারাবন্দি থাকতে হয়। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০০৮ সালের ১১ জুন কারামুক্ত হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।

২০০৭ সালের আজকের এই দিনে খুব ভোরে আওয়ামী লীগ সভাপতির বাসভবন সুধাসদন থেকে আটক করা হয় শেখ হাসিনাকে। পরে কথিত দুর্নীতির কয়েকটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ কারাগারে বন্দি রাখা হয় তাকে। এর প্রতিবাদে ফেটে পড়েন দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। জরুরি অবস্থার তোয়াক্কা না করেই পুরান ঢাকার আদালত চত্বরে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানান। এদিকে নেত্রী যখন লন্ডন হিথরো এয়ারফোর্ট থেকে বহু নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে দেশে ফিরছিলেন , তখন এয়ারফোর্টে এক আবেগঘন অবস্থার সৃষ্টি হয়।

জরুরি অবস্থার মধ্যে দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। ধীরে ধীরে তা তীব্র হয়ে ওঠে। বাড়তে থাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ। চাপের মুখে এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আট সপ্তাহের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পরদিনই তিনি চিকিৎসার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে চিকিৎসা শেষে ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় নির্বাচনী দেন দরবার। ক্ষমতা ছাড়তে উদগ্রীব হয়ে পড়ে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন সরকার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রকাশ্যে ও অন্তরালে শুরু করে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দেন-দরবার। প্রকাশ্য আসতে থাকে রাজনৈতিক নেতা ও রাজনীতি।

এক পর্যায়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি আসন নিয়ে বিজয় লাভ করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সরকার গঠিত হয়। অবসান ঘটে সেনা সমর্থিত সরকারের,ফিরে আসে সংসদীয় গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সরকার।

এবিষয় বেলজিয়াম আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের আগামীর স্বপ্ন বজলুর রশীদ বুলু জানান, নেত্রীর বিদায়ের পূর্ব মূহুর্তে কথা বলতে বলতে আমরা সবাই কাঁদছিলাম তখন সাহসী নেত্রী আমাদেরকে বললেন কেঁদনা আমার জন্য দোয়া করো। তিনি জীবন বাজি রেখে প্রমাণ করলেন সততা এবং সাহসিকতার কাছে পৃথিবীর সকল শক্তিই ক্ষীণ। যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। গড়তে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। তাই আসুন আমরা তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি এবং আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার অসমাপ্ত কাজকে সম্পন্ন করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহযোগিতা করি। এটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা।

 

আর পড়তে পারেন