শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

স্বামীকে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ার জের, মনোহরগঞ্জে স্ত্রীকে পিটিয়ে ও পেটে লাথি মেরে হত্যা

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
নভেম্বর ৪, ২০১৭
news-image

 

সেলিম সজীবঃ

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় ফেরদৌস আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও পেটে লাথি মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার প্রবাসি স্বামী খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে।

শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের বাকরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে মনোহরগঞ্জ থানার নাথেরপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।

নিহত ফেরদৌস আক্তার জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার চাটিতলা গ্রামের প্রবাসি বেলাল হোসেনের মেয়ে ।

নিহতের স্বামী খোরশেদ আলম উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের বাকরা গ্রামের মো.ফখরুদ্দীনের ছেলে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ৮ বছর আগে ফেরদৌস আক্তারের প্রথম স্বামী শাহ আলমের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কয়েক মাস পর স্বামীর ছোট ভাই (দেবর) খোরশেদ আলমের সাথে ফেরদৌস আক্তারের বিয়ে হয়।

বিয়ের কয়েক বছর পর খোরশেদ ওই গ্রামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। গত প্রায় ৪ মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে এসে খোরশেদ ফের পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এনিয়ে স্ত্রী ফেরদৌস আক্তারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত ঝগড়া হতো খোরশেদের। পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় খোরশেদ প্রায়ই স্ত্রীকে মারধরও করতো।

ওই গৃহবধূর চাচা মো.ওমর ফারুকসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করেন, খোরশেদ শুধু পরকীয়া প্রেমই করতো না। সে ছিলো মাদকসেবী। শনিবার (আজ) সকালে এসব বিষয় নিয়ে ফেরদৌসকে কয়েক দফা মারধর করে খোরশেদ। তার পেটে লাথিও মারে। এতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা স্থানীয়দের কাছ থেকে জেনেছি। বিকেলে এসে দেখেছি ফেরদৌসের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহৃ।
নাথেরপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, আমরা ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণের পক্রিয়া করছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আর পড়তে পারেন