শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কুমিল্লার লালমাইয়ে বাবা হত্যার বিচারের প্রতিবাদ সভায় ৩ অবুঝ শিশু

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
মার্চ ৬, ২০১৯
news-image

 

স্টাফ রিপোর্টার :

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার শিবপুরের তিনসন্তানের জনক বেলায়েত হোসেন হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী। আজ বুধবার দুপুরে শিবপুরে প্রতিবাদ সমাবেশে শেষে শিবপুর থেকে লালমাই বাজার পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয় নিহতের তিন অবুঝ শিশু ৭ বছরের প্রিয়াংকা আক্তার, আড়াই বছরের ২ জমজ শিশু রাজু ও মিনা।

প্রতিবাদ সমাবেশে এ হত্যাকান্ডকে একটি পকিল্পিত হত্যাকান্ড উল্লেখ করে বক্তরা বলেন, বরুড়া উপজেলার পাঁচথুবী গ্রামের রওশন আলীর ছেলে বহু অপরাধের অপরাধী অন্ধকার জগতের কারবারী ইকবাল মাহমুদ ও সঙ্গীরা বেলায়েতের সাথে সুসম্পর্ক করে তাকে নানা কাজে ব্যবহারের করতে ফন্দি আঁটে। বেলায়েত তাদের ওই সব কাজে রাজি না হওয়ায় তারা পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত বছরের ২৩ জুন তাকে শিবপুর বাড়ি থেকে মোবাইল ফেনে ডেকে নিয়ে হত্যা করে।

একদির পর ওই বছরের ২৫ জুন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার শিবপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম এর কাছে সংবাদ পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেলায়েত হোসেনের পরিবার তার মরদেহ সনাক্ত করে।

এসময় তার শরীরে প্রচন্ড রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন পাই। তার ঘার ভাঙ্গা, মেরুদন্ড, পা এবং গলার হাড় ভাঙ্গা। সমস্ত শরীরে কালো কালো ছাপ। মুখোমন্ডল বিবর্ণ, শরীরের বিভিন্ন স্থানে সূইয়ের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে শারীরিকভারে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। কুমিল্লা সদর দক্ষিণের শিবপুর থেকে ডেকে নিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেলে কেন বা কিভাবে নেয়া হল তাও রহস্যজনক।

এ ঘটনায় বরুড়া উপজেলার পাঁচথুবী গ্রামের রওশন আলীর ছেলে ইকবাল মাহমুদ, লাকসাম উপজেলার বান্ডা গ্রামের এমদাদ মৌলভীর ছেলে সালাহউদ্দিন, সদর দক্ষিণ থানার শহিদপুর গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে আরিফ, একই উপজেলার, দত্তপুর গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে আউয়াল, শহিদপুর গ্রামের মৃত হাকিম আলীর ছেলে আবু মিয়া, শহিদপুর গ্রামের মফিজ মিসয়ার ছেলে ইকবালসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনের বিুরদ্ধে কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গত ৪/২/২০১৯ তারিখে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নম্বর-৬৪ /১৯ কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত। বেলঅয়েতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড থেকে বিভিন্ন কথোপকথনের প্রমাণ পেয়ে ঘটনাটিতে পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে প্রমাণ মেলায় কিছুটা দেরিতে এ মামলা দায়ের করা হয় বলে জানান তারা।

পরে বেলায়েত হোসেন ও দুই নং বিবাদী লাকসামের বামন্ডা গ্রামের এমদাদ মৌলোভীর ছেলে সালাহউদ্দিনকে জিজ্ঞাস করলে বেলায়েত হোসেনকে হত্যা করেছে মর্মে তারা স্বীকার করে মামলার বাদি বেলায়েতর ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন স্বাক্ষীকে বেলায়েতের পরিণতি হবে বলে হুমকি দেয়। বেলায়েতের মৃত্যু নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে সকলের একই পরিণতি হবে বলেও হুমকি দেয়। মামলা বাদি দেরায়ার হোসেন বলেন, ঘটনা ফাঁস হওয়ায় এবং মোবাইল রেকর্ড থাকায় বিবাদী পক্ষ সিষয়টি মিমাংশার জন্য হুমকি ধমকি দিচ্ছে।

মামলার বাদিসহ সাক্ষীরা তাদের হুমকি ধমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলে জানান। তাদের জান-মাল রক্ষা ও সর্বোপরি বেলায়েতের পরিকল্পিত হত্যাকারীদের গ্রফতার ও বিচার দাবি করেন এলাকাবাসী।

প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন গ্রামের সর্দার আবদুল বারেক, হাজী রফিকুল ইসলাম, বেলায়েতের বাবা মো. আনাল হক, শামসুল হক সর্দার, ঝাড়– মিয়া সর্দ্দার,মামলার বাদি ও ছোট ভাই, মো, দেলোয়ার হোসেন , দুলাল হোসেন প্রমুখ।

আর পড়তে পারেন