বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মুরাদনগরে হলুদ রঙে সেজেছে ফসলের মাঠ

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
news-image

 

মাহবুব আলম আরিফ, মুরাদনগর ঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় গত বছর কৃষকরা সরিষা চাষে লাভবান হওয়ায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এ বছর প্রায় ৫ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে সরিষার। সরিষা ফুলে ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ। যে দিকে দুচোখ যায় শুধু হলুদ রঙের সমারোহ চোখে পরে। ঋতুর পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র্য। ফুলের তেমন গন্ধ না ছড়ালেও এর দৃশ্য যেন আকৃষ্ট করছে প্রকৃতিপ্রেমীদের মন। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে সরিষার আবাদ দ্বিগুণ হওয়ায় কৃষক-কৃষাণীদের মূখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছে চাষিরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২৪ হাজার হেক্টর চাষাবাদী জমির মধ্যে গত বছর সরিষা চাষ হয়েছিল সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। এ বছর উপজেলা কৃষি অফিসের ৪ হাজার ৭’শ হেক্টর জমিতে চাষাবাধের টার্গেট থাকলেও চাষের পরিমান বৃদ্ধি পেয়ে ৫ হাজার ১৮০ হেক্টরে দাড়িয়েছে। চলতি বছর কৃষকরা উপজেলা সদর, করিমপুর, ইউছুফনগর, দিলালপুর, নেয়ামুতপুর, নোয়াগাও, কামাল্লা, রামচন্দ্রপুর, শ্রীকাইল, রোয়াচালা, কুড়াখাল, কুড়–িন্ড, বড়িয়াচরা, মোহাম্মদপুর, দিঘিরপাড়, রগুরামপুর, পুষ্কনিরপাড়, চৈনপুর, মোচাগড়া, দেওরাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে টরি ৭, বারি ৯, ১৪, ১৫, ১৭ ও বিনা ৪, ৯, ১০, ১৪, ১৫, ১৭, জাতের সরিষা চাষ করেছে। হেক্টর প্রতি সরিষা উৎপাদন হবে প্রায় ৭/৮ টন।

করিমপুর মাঠের কৃষক নাতু মিয়া বলেন, কয়েক বছর আগেও আমাদের জমি পরিত্যক্ত থকতো, কিন্তু বর্তমানে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমরা এখন বোরো ধানের আগে জমিতে সরিষা চাষ করি। আমি ১০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। বিঘা প্রতি ৪/৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করি এ বছর বিঘা প্রতি ৮ মন সরিষা পাওয়া যাবে, যার বাজার মূল্য হবে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, কৃষকরা এবছর সরিষার বীজ বেশি চাষ করেছেন। এছাড়া তিনি উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে বক্ল বা ক্ষেত পরিদর্শনসহ ভালো ফলন পেতে চাষাবাদের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি আশাবাদী।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল জানান, সরকারের তরফ থেকে উপজেলার সকল কৃষকদের সুযোগ-সুবিধা যা দেয়ার প্রয়োজন ছিলো সব কিছু দেয়া হয়েছে। এছাড়াও এ বছর ১ হাজার ৭’শ কৃষককে প্রনোদনা প্রধান ও ৪০টি প্রর্দশনি ছিল। অপর দিকে কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রযোক্তির পরামর্শ ও প্রশিক্ষন সেবা দিয়েছেন। স্বল্প পুজিতে সরিষা কৃষকের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। কৃষকদের পরিশ্রম আর সরকারি কৃষি অফিসের সমন্বয়ে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।

আর পড়তে পারেন