বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫০ শয্যার অনুমোদিত শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে কার্যক্রম

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
অক্টোবর ২৪, ২০১৭
news-image

মোঃ মাহবুব আলমঃ
শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১৯৮৪ সালে যাত্রা শুরু করে। শাহরাস্তি উপজেলার জনগণের স্বাস্থ্য সেবার প্রধান মাধ্যম এই হাসপাতাল। উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভার জনগণ এ হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে থাকেন। ১৯৯৪ সালের ২৪ এপ্রিল তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউছুফ শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৭ সালের ৪ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম শাহরাস্তি উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর ২০০৯ সালের ২ এপ্রিল ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রশাসনিক অনুমোদন লাভ করে। প্রশাসনিক অনুমোদনের ৮ বছর অতিবাহিত হলেও আজও মিলেনি জনবলের অনুমোদন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মানিক লাল মজুমদার বলেন, প্রতি বছর মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয় তারপরও জনবলের অনুমোদন পাওয়া যায় নি। স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয় বেশ কয়েকবার ডিও লেটার দিয়েছেন এবং চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে হাসপাতালটির ৫০ শয্যার কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে। এ জন্য হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের ডাক্তার কর্মচারী সকলকে। প্রতিদিন বেড়েই চলছে রোগীর সংখ্যা রোগীদের সাথে তাল মিলিয়ে স্বাস্থ্য সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে হাসপাতাল কতৃপক্ষের। ৫০ শয্যা হাসপালের জন্য যেখানে ২২ জন ডাক্তার থাকার কথা সেখানে ডাক্তার রয়েছে ৯ জন, ৩১ শয্যার জনবলও ঠিকমত নেই। শুধু ডাক্তারই নয়, সব ক্ষেত্রে রয়েছে জনবল সংঙ্কট। ৩১ শয্যা হাসপাতালের জন্য ১৪ জন নার্সের স্থলে আছেন ৯ জন। ৮ জন সুইপারের স্থলে আছে ৩ জন। ৩১ শয্যার হাসপাতালের জন্য ওয়ার্ড বয় ৩ জনের মধ্যে আছেন ১ জন যেখানে ৫০ শয্যার হাসপাতালের জন্য প্রয়োজন ৪ জন। আয়া ২ জনের মধ্যে আছেন ১ জন। হাসপাতালটিতে কোন টিকেট ক্লার্ক না থাকায় এম এল এস এস দিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। নেই কোন ওটি বয়। ৩১ শয্যা হাসপাতালের জন্য ২ জন ফার্মাসিস্ট থাকার বিধান থাকলেও এই হাসপাতালে এক জনও নেই। শুধু হাসপাতালের ভিতরেই নয়, বাইরেও জনবল সংকট রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী ৪৫ জনের মধ্যে বর্তমানে রয়েছে ২৫ জন।

বর্তমানে শাহরাস্তি উপজেলায় ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক চলমান রয়েছে। সেখানে ২৩ জন কমিউনিটি হেলথ প্রভাইডারের পদ থাকলেও রয়েছে ১৯ জন। জনবলের সঙ্কটের কারণে শুধু কর্তৃপক্ষই নয়, ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের। বহিঃবিভাগে রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১৭ আগস্ট চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন ২৪৫ জন রোগী, ১৯ আগস্ট ১৪৪ জন, ২০ আগস্ট ২৬২ জন, ২১ আগস্ট ২২৫ জন। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন ১৮ আগস্ট ৪৩ জন, ১৯ আগস্ট ৩৩ জন, ২০ আগস্ট ৪৬ জন, ২১ আগস্ট ২৩ জন। বর্তমানে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা ১৮ আগস্ট ৪৫ জন, ১৯ আগস্ট ৪৪ জন, ২০ আগস্ট ৫৬ জন, ২১ আগস্ট ৪৯ জন।

আর পড়তে পারেন