ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএসএফের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সীমান্তে বিএসএফের বিরুদ্ধে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত যুবকের নাম মুরাদুর রহমান মুন্না (২৫), যিনি পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
নিহতের পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, মুন্না সেদিন বিকেলে নিজের ধানির জমি দেখতে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় যান। সেখানে তাকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কয়েকজন সদস্য ধরে নিয়ে যায় এবং নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বাংলাদেশের সীমান্তে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। আহত মুন্নাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবার বিএসএফের এ বর্বরতার বিচার চেয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আরাফাত রহমান জানান, মুন্নাকে হাসপাতালে আনার পর প্রাথমিক পরীক্ষায় তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় সরাইল ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, মুরাদুর রহমান অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তবে বিএসএফ তাকে আটক করেছিল কি না বা অন্য কেউ তাকে আক্রমণ করেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আমরা বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করে ঘটনার সত্যতা যাচাই করছি।”
তিনি আরও জানান, বিজিবির টহল দল সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মুন্না ভারতে প্রবেশের পর সুস্থ অবস্থায় ফিরে এসেছিলেন এবং স্থানীয় এক ব্যক্তির সহায়তায় তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। তবে কীভাবে তিনি পরে নিহত হলেন, তা তদন্তাধীন।
স্থানীয় বাসিন্দারা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএসএফের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।
সূত্র: ইত্তেফাক