শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাহরাইন থেকে ফিরলেন ৪১৪ বাংলাদেশি, যেতে পারলেন না একজনও

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
জুন ২৬, ২০২০
news-image

ডেস্ক রিপোর্ট:
কথা ছিল বিমানের স্পেশাল ফ্লাইটটি করোনার কারণে ঢাকায় দীর্ঘদিন ধরে আটকে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে যাবে। আর ফেরার পথে করোনা ছাড়া অন্য রোগ-শোকে কর্মহীন, কারামুক্ত এবং একান্ত জরুরি বা পরিবারিক প্রয়োজনে দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশিদের নিয়ে আসবে। কিন্তু না, তা হয়েছে একতরফা! বাহ্‌রাইন থেকে ৪১৪ বাংলাদেশি ফিরেছেন। তাদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি বুধবার মধ্যরাতে হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিশেষ ফ্লাইটে মানামা ফেরত ৪১৪ প্রবাসীর বিষয়ে বাহরাইনের বাংলাদেশ দূতাবাস কাল জানায়, দেশে ফেরা ওই প্রবাসীদের মধ্যে প্রায় ৭০ জন অসুস্থ (রোগী) এবং ৪০ জন কারাবন্দি রয়েছেন। করোনার কারণে বাহরাইনের জেলখানাগুলো যতটা সম্ভব খালি করার অংশ হিসেবে ছোটখাটো অপরাধে আটক বন্দিদের মুক্তি প্রদানে দেশটির রাজা হামাদ বিন ঈসা আল খালিফা দয়াপরবশ হয়ে অনেক বিদেশিকে ছেড়ে দিচ্ছেন। মে মাস থেকে চলমান বন্দিমুক্তির ধারাবাহিকতায় নতুন করে ৪০ জন বাংলাদেশিকে মুক্তি দিয়ে ঢাকাগামী ফ্লাইটে তোলা হলো। এর আগে আরও কয়েক শ’ ফিরেছেন।

বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, কারামুক্ত ৪০ বাংলাদেশির বিমান ভাড়ার পুরোটা বহন করে বাহরাইন সরকার। আর মিশনের প্রবাসী কল্যাণ তহবিল থেকে অসুস্থ ৭০ জন রোগীর ১৮ জনের পূর্ণ বিমান ভাড়া এবং প্রায় ৫০ জনের আংশিক বিমান ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে। দূতাবাস আরও জানায়, বাংলাদেশ বিমানের ওই ফ্লাইটে রোগী, কয়েদি ছাড়াও উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশি ফিরেছেন যারা ছুটি বা পারিবারিক জরুরি প্রয়োজনে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকদিন ধরে দেশে ফেরার অপেক্ষায় প্রহরগুনতে থাকা ওই বাংলাদেশিদের অনুরোধেই বাংলাদেশ দূতাবাস বাহরাইন সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটির আয়োজন করে। স্মরণ করা যায়, অনেক অসুস্থ অর্থকষ্টে ভুগছিলেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মাদ নজরুল ইসলামের নিবিড় তত্ত্বাবধানে দেশে ফেরার প্রত্যেকটি আবেদন যাচাই এবং করোনাভাইরাস বা উপসর্গমুক্ত মর্মে সনদ নিশ্চিতের পরই কেবলমাত্র তাদের টিকিট কাটার অনুমতি এবং ফ্লাইটে পা রাখতে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, রুটিন বা নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধ থাকায় ঢাকায় আটকা পড়ে আছেন প্রায় ৩০০০ শ্রমিক। রাষ্ট্রদূত জানান, সীমিত আকারে রেগুলার ফ্লাইট চালু হয়েছে। যাদের কাগজপত্র ঠিক আছে পর্যায়ক্রমে নিশ্চয়ই তারা মানামা ফেরার সুযোগ পাবেন।

আর পড়তে পারেন