বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নুসরাত মামলায় আ’লীগ নেতা রুহুলকে রিমান্ড শেষে কারাগারে

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
এপ্রিল ২৫, ২০১৯
news-image

 

ডেস্ক রিপোর্ট :

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাদ্রাসা কমিটির সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক (ওসি) মো. শাহ আলম জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এসময় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে রুহুল আমিনকে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সোনাগাজীর তাকিয়া রোড থেকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে তাকে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে তুলে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক শাহ আলম। আদালত তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত আলিমের আরবি পরীক্ষা প্রথমপত্র দিতে গেলে মাদ্রাসায় দুর্বৃত্তরা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচদিন পর ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়।

এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা। গত ২৭ মার্চ সিরাজের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা হয়েছিলো।

পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় প্রথম থেকেই আলোচনায় আসে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি রুহুল আমিনের নাম। এ মামলায় গ্রেফতার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার ঘনিষ্ঠ নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানান, নুসরাতকে পোড়ানোর ঘটনা শুরু থেকেই জানতেন রুহুল। শামীম তার জবানবন্দিতে জানান, নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর তিনি দৌড়ে নিচে নেমে উত্তর দিকের প্রাচীর টপকে বের হয়ে যান। বাইরে গিয়ে মোবাইল ফোনে বিষয়টি রুহুল আমিনকে জানান। তখন রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি জানি। তোমরা চলে যাও।’

এই হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত আটজনসহ মোট ১৯ জন গ্রেফতার হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পাঁচজন। ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশে এ মামলার তদন্ত করছে পিবিআই।

এছাড়া শ্লীলতাহানির অভিযোগ করতে থানায় যাওয়ার পর নুসরাতের ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ায় গত ১৫ এপ্রিল সোনাগাজী থানার ওই সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (পরে প্রত্যাহার) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করা হয়েছে। এ মামলাও তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত।

আর পড়তে পারেন