বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশের অদম্য ভ্রমণকন্যা এলিজা বিনতে এলাহীর সংবাদ সম্মেলন

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
এপ্রিল ১৮, ২০১৯
news-image

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বাংলাদেশী বিশ্ব পর্যটক ও লেখক এলিজা বিনতে এলাহী  বাংলাদেশের প্রত্নতা ত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ ও প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যটনের গুরুত্বকে তুলে ধরার জন্য ৪৩ তম জেলা পটুয়াখালী ভ্রমণ শেষে  ১৪ এপ্রিল  চট্টগ্রাম বিভাগের ৪টি জেলা ভ্রমনের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন  । ১৪ই এপ্রিল তিনি ৪৪ তম জেলা ব্রাহ্মনবাড়িয়া  জেলার দিয়ে তিনি ৭ম বিভাগ চট্টগ্রাম ভ্রমণ শুরু করেন ।

১৭ ও ১৮ এপ্রিল ৪৫তম জেলা কুমিল্লার বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক  নিদর্শনগুলো সরেজমিনের ঘুরে দেখার  পাশাপাশি লিখিত তথ্য, লোককথা, স্থিরচিত্র ও ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেন তিনি । প্রাথমিক  এ ভ্রমণে এলিজা ঐতিহ্যবাহী জেলা কুমিল্লার ধর্মসাগর, রানিকুটির, ভিক্টোরিয়া কলেজ, বীরচন্দ্র গন পাঠাগার, শালবন বিহার ও নব শালবন বিহার, কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি, শচীন দেব বর্মণ এর বাসগৃহ পরিদর্শন করেন ।

ব্যক্তিগত উদ্যোগে “ কোয়েস্ট” (QUEST) নামক  প্রজেক্ট এর আওতায় ৬৪ জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা সরেজমিনে ভ্রমণ করে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে হেরিটেজ পর্যটনের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করছেন গবেষক ও পর্যটক এলিজা  ।  বাংলাদেশের ‘ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া’র সহকারী অধ্যাপক এলিজা বিনতে এলাহী এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর,  সিলেট,  রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের সকল জেলার  প্রত্নতাত্ত্বিক  নিদর্শনের তথ্য সংগ্রহের কাজ সমাপ্ত করেছেন।

শিক্ষা ছুটিতে নেদারল্যান্ডস এর ‘দ্য হেগ ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লায়েড সায়েন্স’ এ অধ্যয়নরত  এই পর্যটকের  গবেষণার বিষয়ও  ‘বাংলাদেশের  পর্যটন শিল্প বিকাশে  হেরিটেজ  ট্যুরিজমের গুরুত্ব’   । বাংলাদেশ ছাড়াও তিনি ইতোপূর্বে  এশিয়া ও ইউরোপের ৪৬ দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পরিভ্রমণ করেছেন। এশিয়ার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁর ‘এলিজা’স  ট্রাভেল ডায়েরী’  ও  ‘এলিজা’স  ট্রাভেল ডায়েরী-২’  নামে দুটি বইও প্রকাশ হয়েছে ।  এছাড়াও ভ্রমণ অভিজ্ঞতা  নিয়ে    ‘ঢাকা ট্রিবিউন’ ও ‘এনটিভি অনলাইন’ সহ  অন্যান্য পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন তিনি। এলিজা  মনে করেন বিশ্ব ভ্রমণের এই অভিজ্ঞতা, গবেষণা, লেখা, তথ্যচিত্র বাংলাদেশে ‘হেরিটেজ ট্যুরিজম’ প্রসারের ক্ষেত্রে  কাজে লাগবে ।বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে যা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে শিক্ষা – গবেষণার পাশাপাশি দেশে পর্যটনশিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন ।

এলিজা মনে করেন, গত ২০ বছরে বাংলাদেশ ও বিশ্ব ভ্রমনের অভিজ্ঞতা একদিকে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছে অন্যদিকে  বাংলাদেশের সংস্কৃতি ,ইতিহাস , ঐতিহ্য , মানুষ  যে  আনন্দ দিয়েছে পৃথিবীর বড় বড় দেশ তা দিতে পারে নি । গর্ব করার মত বিশ্ব মানের স্থাপনা  বাংলাদেশেরও রয়েছে ; প্রয়োজন শুধু সংরক্ষণ , রক্ষনাবেক্ষন ও প্রচার-প্রচারণা ।

৬৪টি জেলায়  বৃহৎ পরিসরের এ কাজটি সম্পাদনের ব্যাপারে তিনি  প্রশাসন, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ  সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন ।

সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন দর্পণ এর নির্বাহী পরিচালক মো: মাহবুব মোর্শেদ।

অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগী ছিলেন দর্পণ এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার নাজনীন আক্তার তপা, প্রোগ্রাম অফিসার আফসানা আফরোজ জুঁই, দর্পণ অ্যাক্টিভিষ্ট গ্রুপের টিম লিডার সুভা ইবনাত সুমি এবং প্রোগ্রাম অর্গানাইজার প্রীতি আফিরিন।

আর পড়তে পারেন