বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মুরাদনগরে লাঞ্চিত হলেন মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
মে ২০, ২০১৭
news-image

 

আরিফ চোধুরী, মুরাদনগরঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইকালে অভিযোগ করে লাঞ্চিত হলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার ও সেনাবাহিনীর (অব:) সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর আলম।

শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কালে উপজেলা পরিষদের কবি নজরুল মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মুক্তিযোদ্ধাগন জানান, ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা রোধে জাহাঙ্গীর আলম প্রায় ৩০০ মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়সহ যাচাই-বাছাই কমিটির নিকট লিখিত অভিযোগ করে।
শুক্রবার মুক্তিযোদ্ধা হানিফ সরকারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদেরসহ ছয় সদস্যের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কমিটির সামনে সাক্ষ্য গ্রহন চলাকালে এনামুল হক নামের একজন মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ডেপুটি কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হওয়ার সময় অন্য অভিযুক্তরা এসে জাহাঙ্গীরকে কিল ঘুসি মেরে লাঞ্চিত করে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরে পুলিশ ডেকে এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় আহত জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকাসহ তার গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র হামলাকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আতœরক্ষার্থে পুলিশ প্রহরায় সে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

পরে অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আর কেউ স্বাক্ষ্য না দেওয়ায়, যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার এনে দিয়েছে এমন লোকদেরকেও তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা হচ্ছে বলে একটি সূত্র জানায়। এছাড়া একজন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে যাচাই-বাছাই কমিটি।

এ ঘটনায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা উল্লসিত হলেও যুদ্ধকালিন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এ অনভিপ্রেত ঘটনায় আমরা মর্মাহত। উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম প্রায় ৩০০ মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তার সবগুলো অভিযোগ সত্য না হলেও প্রায় ৭০ ভাগ সত্য।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই নির্ভর করছে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষ্যের উপর।

আর পড়তে পারেন